চলুন জেনে নিই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কিছু অমৃত বাণী শ্রীমদ্ভাগবত গীতা থেকে -
গীতার ৪/৬ শ্লোক -
আমি জন্মরহিত, অবিনশ্বর এবং সর্বভুতের ঈশ্বর হইয়াও স্বীয় প্রকৃতিতে অধিষ্ঠান করিয়া আত্মমায়ায় আবির্ভূত হই ৷
গীতার ৪/৭ শ্লোক -
হে ভারত, ( অর্জুন ), যখন যখনই ধর্মের গ্লানি
এবং অধর্মের অভ্যুত্থান হয়, আমি সেই সময়ে নিজেকে সৃষ্টি করি ( দেহ ধারণপূর্বক অবতীর্ণ হই ) I
গীতার ৪/৮ শ্লোক -
সাধুগণের পরিত্রাণ, দুষ্টুদিকের বিনাশ এবং ধর্ম সংস্থাপনের জন্য আমি যুগে যুগে অবতীর্ণ হই ৷
গীতার ১০/৩ শ্লোক -
যিনি জানেন যে আমার আদি নাই, জন্ম নাই, আমি সর্বলোকের মহেশ্বর, মনুষ্যমধ্যে তিনি মোহশূন্য হইয়া সর্বপাপ হইতে মুক্ত হন ৷
গীতার ১০/৮ শ্লোক -
আমি সমস্ত জগতের উৎপত্তির কারণ ৷ আমা হইতে সমস্ত প্রবর্তিত হয় ; বুদ্ধিমানগণ ইহা জানিয়া প্রেমাবিষ্ট হইয়া আমার ভজনা করেন ৷
গীতার ৪/১১ শ্লোক -
হে পার্থ, যে আমাকে যে-ভাবে উপাসনা করে, আমি তাহাকে সেই ভাবেই তুষ্ট করি ৷ মনুষ্যগণ সর্বপ্রকারে আমার পথেরই অনুসরণ করে অর্থাৎ মনুষ্যগণ যে পথই অনুসরণ করুক না কেন, সকল পথেই আমাতে পৌঁছাতে পারে ( তবে সময় কম আর বেশি ) ৷
গীতার ৯/২৩ শ্লোক -
হে কৌন্তেয়, যাহারা অন্য দেবতায় ভক্তিমান হইয়া শ্রদ্ধাযুক্তচিত্তে তাঁহাদের পূজা করে, তাহারাও আমাকেই পূজা করে, কিন্তু অবিধিপূর্বক ( অর্থাৎ যাহাতে সংসার নিবর্তক মোক্ষ বা ঈশ্বর প্রাপ্তি ঘটে তাহা না করিয়া ) ।
গীতার ৯/২৪ শ্লোক -
আমিই সর্ব যজ্ঞের ভোক্তা ও ফলদাতা ৷ কিন্তু তাহারা আমাকে যথার্থরূপে জানে না বলিয়া সংসারে পতিত হয় ৷
গীতার ১০/২০ শ্লোক -
হে অর্জুন, সর্বভূতের হৃদয়স্থিত আত্মা ( প্রত্যক্ চৈতন্য ) আমিই ৷ আমিই সর্বভূতের উৎপত্তি, স্থিতি ও সংহারস্বরূপ অর্থাৎ সৃষ্টি, স্থিত ও লয়কর্তা ) ৷
গীতার ১০/৩৯ শ্লোক -
হে অর্জুন, সর্বভূতের যাহা বীজস্বরূপ তাহাই আমি, আমা ব্যাতীত উদ্ভূত হইতে পারে চরাচরে এমন পদার্থ নাই ৷
গীতার ১০/৪১ শ্লোক -
যাহা যাহা কিছু ঐশ্বর্যযুক্ত, শ্রীসম্পন্ন অথবা অতিশয় শক্তি সম্পন্ন, তাহাই আমার শক্তির অংশসম্ভূত বলিয়া জানিবে ।
গীতার ১০/৪২ শ্লোক -
অথবা হে অর্জুন, তোমার এত বহু বিভূতিবিস্তার জানিয়া প্রয়োজন কি ? ( এক কথায় বলেতেছি ) আমি এই সমস্ত জগৎ আমার একাংশ মাত্র দ্ধারা ধারণ করিয়া অবস্থিত আছি ৷
গীতার ৮/১৬ শ্লোক -
হে অর্জুন, ব্রহ্মলোক পর্যন্ত সমস্ত লোক হইতেই লোকসকল ফিরিয়া পুনরায় জন্মগ্রহণ করে ৷ কিন্তু হে কৌন্তেয়, আমাকে পাইলে আর পুনর্জন্ম হয় না ৷
গীতার ৭/২৪ শ্লোক -
অল্পবুদ্ধি ব্যক্তিগণ আমার নিত্য সর্বোৎকৃষ্ট পরম স্বরূপ না জানায় অব্যক্ত আমাকে প্রাকৃত মনুষ্যবৎ ব্যক্তিভাবাপন্ন মনে করে ৷
গীতার ৭/২৫ শ্লোক -
আমি যোগমায়ায় সমাচ্ছন্ন থাকায় সকলের নিকট প্রকাশিত হয় না ৷ অথএব মূঢ় এই সকল লোক জন্মমরণরহিত আমাকে পরমেশ্বর বলিয়া জানিতে পারে না ৷
গীতার ৯/১১ শ্লোক -
অবিবেকী ব্যক্তিগণ সর্বভূত-মহেশ্বর স্বরূপ আমার পরম ভাব না জানিয়া মনুষ্য-দেহধারী বলিয়া আমার অবজ্ঞা করিয়া থাকে ৷
গীতার ৯/১২ শ্লোক -
এই সকল বিবেকহীন ব্যক্তি বুদ্ধিভ্রংশকারী তামসী ও রাজসী প্রকৃতির বশে আমাকে অবজ্ঞা করিয়া থেকে ; উহাদের আশা ব্যর্থ, কর্ম নিষ্ফল, জ্ঞান নিরর্থক এবং চিত্ত বিক্ষিপ্ত ৷
গীতার ৯/১৩ শ্লোক -
কিন্তু হে পার্থ, সাত্ত্বিকী প্রকৃতি-প্রাপ্ত মহাত্মগণ অনন্যচিত্ত হইয়া আমাকে সর্বভূতের কারণ এবং অব্যয়স্বরূপ জানিয়া ভজনা করেন ৷
গীতার ৪/৪২ শ্লোক -
অতএব হে ভারত, অজ্ঞানজাত হৃদয়স্থ এই তোমার সংশয়রাশিকে আত্মজ্ঞানরূপ খড়গদ্বারা ছেদন করিয়া নিষ্কাম কর্মযোগ অবলম্বন কর ; উঠ, যুদ্ধ কর ৷
গীতার ৭/৩ শ্লোক -
সহস্র সহস্র মনুষ্যের মধ্যে হয়তো একজন আমার জ্ঞান লাভের জন্য যত্ন করে ৷ আবার যাহারা যত্ন করিয়া সিদ্ধি লাভ করিয়াছেন মনে করেন, তাঁহাদিগেরও সহস্রের মধ্যে হয়ত একজন আমার প্রকৃত স্বরূপ জানিতে পারেন ৷ ( অর্থাৎ যাঁহাদিগকে তত্ত্বজ্ঞানী বা আত্মজ্ঞানী বলে তাঁহাদিগেরও সহস্র জনের মধ্যে হয়ত একজন আমার প্রকৃত স্বরূপ জানেন ৷ উহা অতি গুহ্য বিষয় ) ৷
গীতার ৭/৭ শ্লোক -
এ ধনঞ্জয়, আমা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ পরমার্থ-তত্ত্ব অন্য কিছু নাই ; সূত্রে মণিসমূহের ন্যায় সর্বভূতের অধিষ্ঠানস্বরূপ আমাতে এই সমস্ত জগৎ রহিয়াছে ৷
গীতার ৯/২২ শ্লোক -
অনন্যচিত্ত হইয়া আমার চিন্তা করিতে করিতে যে ভক্তগণ আমার উপাসনা করেন, আমাতে নিত্যযুক্ত সেই সমস্ত ভক্তের যোগ ও ক্ষেম আমি বহন করিয়া থাকি ( অর্থাৎ তাহাদের প্রয়োজনীয় অলব্ধ বস্তুর সংস্থান এবং লব্ধ বস্তুর রক্ষণ করিয়া থাকি ) I
গীতার ৯/৩৪ শ্লোক -
তুমি সর্বদা মনকে আমার চিন্তায় নিযুক্ত কর, আমাতে ভক্তিমান হও, আমার পূজা কর, আমাকেই নমস্কার কর ৷ এইরূপে মৎপরায়ন হইয়া আমাতে মন সমাহিত করিতে পারিলে আমাকেই প্রাপ্ত হইবে ৷
গীতা ১১/৫৪ শ্লোক -
হে পরন্তপ, হে অর্জুন, কেবল অনন্যা ভক্তি দ্বারাই ঈদৃশ্য আমাকে স্বরূপতঃ জানিতে পারা যায়, সাক্ষাত দেখিতে পারা যায় এবং আমাতে প্রবেশ করিতে পারা যায় ৷
গীতা ১১/৫৫ শ্লোক -
হে পান্ডব, যে ব্যক্তি আমারই কর্মবোধে সমুদয় কর্ম করেন, আমিই যাঁহার একমাত্র গতি, যিনি সর্বপ্রকারে আমাকে ভজনা করেন, যিনি সমস্ত বিষয়ে আসক্তিশুন্য, যাঁহার কাহারও উপরে শত্রুভাব নাই, তিনিই আমাকে প্রাপ্ত হন ৷
Tags:
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বানী,
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কিছু বানী,
ভগবান শ্রী কৃষ্ণের অমৃত বাণী,
শ্রীমদ্ভাগবত গীতা,
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উৎস,
শ্রীমৎ ভাগবত গীতা 18 অধ্যায়,
শ্রীমৎ ভাগবত গীতা পাঠ,
শ্রীমৎ ভাগবত গীতা বাংলা,
শ্রীমৎ ভাগবত গীতা প্রথম অধ্যায়,
ভাগবত গীতা শ্লোক,
শ্রীমৎ ভাগবত গীতা বাংলা অনুবাদ,
ভাগবত গীতা প্রথম অধ্যায়,
ভাগবত গীতা 18 অধ্যায়,
ভাগবত গীতা তৃতীয় অধ্যায়,
ভাগবত গীতা চতুর্থ অধ্যায়,
ভাগবত গীতা দ্বিতীয় অধ্যায়,
শ্রীমৎ ভাগবত গীতা অষ্টম অধ্যায়,
ভাগবত গীতা পঞ্চম অধ্যায়,
শ্রীমদ্ভাগবত গীতার অষ্টাদশ অধ্যায়,
শ্রীমৎ ভাগবত গীতা দ্বিতীয় অধ্যায়,
শ্রীমৎ ভাগবত গীতা তৃতীয় অধ্যায়,
শ্রীমৎ ভাগবত গীতা পঞ্চম অধ্যায়,
শ্রীমৎ ভাগবত গীতা চতুর্থ অধ্যায়,
শ্রীমৎ ভাগবত গীতা ষষ্ঠ অধ্যায়,
ভাগবত গীতা আলোচনা,
ভাগবত গীতা ইসকন মায়াপুর,
ইসকনের ভাগবত গীতা পাঠ,
শ্রীমদ্ভাগবত গীতার উপদেশ ,
You might also like:
Tags:
অবতার
পরমেশ্বর
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
ভাগবত গীতা
মহাভারত
শ্রীমদ্ভাগবত গীতা
bhagavad gita
lord krishna
Do you know How to get google adsense approval for blogger within 3 days?
উত্তরমুছুনIn this article i have shared about how can you get google adsense approval fast for blogger.
Click To Learn ABOUT Google Adsense Approved.Thank you.